জরিপে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ভোট ১৫ শতাংশের বেশি

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলে ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। সাউথ এশিয়ান মডেল নেটওয়ার্কিং অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত এ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে ভোট দিয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জরিপের আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল ২০ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালনা করে। এতে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণ অংশ নেন।

সানেম জানায়, দেশের ৮টি বিভাগের প্রতিটিতে দুটি করে জেলা এবং প্রতিটি জেলার দুটি করে উপজেলায় শহর ও গ্রাম মিলিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে জরিপটি করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, বিএনপি নির্বাচনে ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা। জামায়াতে ইসলামীকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চেয়ে বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

জরিপ অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, এনসিপি ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ, অন্যান্য ইসলামিক দল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং অন্যান্য দল দশমিক ৫৭৮ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

অংশগ্রহণকারীদের ৪০ দশমিক ৮৯ শতাংশ মোটামুটি আশাবাদী যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ২৭ দশমিক ৯১ শতাংশ খুবই আশাবাদী, ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ পুরোপুরি আশাবাদী, ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ আংশিক আশাবাদী এবং ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ একেবারেই আশাবাদী নন।

জরিপে অংশ নেওয়া ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ তরুণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী। ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ সিদ্ধান্ত নেননি, ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এখনো ভোটার নন এবং ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট দিতে অনিচ্ছুক।

রাজনীতিতে জড়াতে চান না এমন তরুণের হার ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। ১ দশমিক ৬ শতাংশ ইতোমধ্যেই রাজনীতিতে জড়িত, ৮ দশমিক ৩ শতাংশ কিছুটা আগ্রহী, ৩ দশমিক ২ শতাংশ খুবই আগ্রহী এবং ৪ দশমিক ২ শতাংশ এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।

রাজনীতিতে জড়াতে না চাওয়ার কারণ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের বড় একটি অংশ রাজনৈতিক সহিংসতার কথা বলেছেন। এছাড়া দুর্নীতি ও নীতি-নৈতিকতার অভাবও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।

সানেম জানিয়েছে, জরিপের পরবর্তী ধাপ চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে পরিচালিত হবে।