নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে শাপলা না পেলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, “শাপলা একটি প্রতীকের অংশ হতে পারে, ঠিক যেমন ধানের শীষও অন্যান্য প্রতীকের অংশ। যদি অন্য দলগুলো এই ধরনের প্রতীকের অধিকার পেতে পারে, তাহলে এনসিপিকেও শাপলা প্রতীক দেওয়া উচিত। আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।”
বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা এনসিপি কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সারজিস আলম দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য তারা সব নিয়ম অনুসরণ করেছেন এবং ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশন জানায়, শাপলা তাদের তালিকাভুক্ত প্রতীক নয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাস, এবং সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় সুনামগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে।
ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে সারজিস আলম বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের হত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে এবং তাদের দলকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থান পাবে না।”
দেশের রাজনীতি থেকে দুর্নীতি, দখলদারি ও বৈদেশিক প্রভাব দূর করার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সারজিস আলম বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কেউ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
সভায় দলের জেলা ও উপজেলা নেতারা আগামী আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় করেন।
