ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিলেও এর প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকায় থেমে-থেমে বৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরের পর থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল; এরপর সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। শুধু ঢাকা নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
নভেম্বরের শুরুতে এমন বৃষ্টির কারণ জানতে আবহাওয়াবিদ বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোনথা দুর্বল হয়ে গেলেও এটি স্থলভাগে উঠে আসায় এর প্রভাবেই মূলত বৃষ্টি হয়েছে। রোববারের মধ্যে এটি কেটে যাবে।”
এদিকে মোনথার প্রভাব কাটতে না কাটতেই পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ফের একটি লঘুচাপের আভাস পাওয়া গেছে।
অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বিহার ও আশপাশে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে আরও দুর্বল হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসুমি প্রভাব অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে; ১৬৬ মিলিমিটার। এছাড়া বগুড়ায় ৯৪, নওগাঁর বদলগাছীতে ৮৯, দিনাজপুরে ৫৬ এবং ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে সেটিকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।