ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৪৫ জন ভর্তি, মৃত্যু ৪

  • এ বছর আক্রান্ত ৪৬ হাজার ছাড়াল, মৃতের সংখ্যা ১৯২

বাংলাদেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪৫ জন রোগী। দৈনিক ভর্তির এ সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর ৭৪০ জন রোগী ভর্তির তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

নতুন আক্রান্তদের যোগে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৫১ জনে।

মৃত্যু বেড়ে ১৯২

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছরের মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৯২।
মৃতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। বয়স যথাক্রমে ৫৫, ৬৫, ৪৫ এবং ৫৫ বছর। তারা চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।

সেপ্টেম্বরেই সর্বোচ্চ আক্রান্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের নিয়ে সেপ্টেম্বরে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ৫৭৫ জন, যা এ বছর এক মাসে সর্বোচ্চ। এর আগে জুলাই মাসে ভর্তি হয়েছিলেন ১০ হাজার ৬৮৪ জন।

মাসভিত্তিক ভর্তি রোগীর পরিসংখ্যান:

  • জানুয়ারি: ১,১৬১
  • ফেব্রুয়ারি: ৩৭৪
  • মার্চ: ৩৩৬
  • এপ্রিল: ৭০১
  • মে: ১,৭৭৩
  • জুন: ৫,৯৫১
  • জুলাই: ১০,৬৮৪
  • অগাস্ট: ১০,৪৯৬
  • সেপ্টেম্বর (এখন পর্যন্ত): ১৪,৫৭৫

মৃত্যুর মাসভিত্তিক হিসাব

চলতি বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে—৭০ জন। এর আগে জুলাই মাসে মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের।
অন্যান্য মাসে মৃত্যুর সংখ্যা: জানুয়ারি ১০, ফেব্রুয়ারি ৩, মার্চ ০, এপ্রিল ৭, মে ৩, জুন ১৯, অগাস্ট ৩৯।

অঞ্চলভিত্তিক রোগী ভর্তি

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তিকৃতদের মধ্যে ২১৪ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়।
অন্য বিভাগগুলোর পরিসংখ্যান:

  • ঢাকা বিভাগ (ঢাকা সিটি বাদে): ১৫৯
  • ময়মনসিংহ: ৩৭
  • চট্টগ্রাম: ৯১
  • খুলনা: ১০০
  • রাজশাহী: ৫৪
  • রংপুর: ১৭
  • বরিশাল: ১৬৬
  • সিলেট: ৭

বর্তমানে চিকিৎসাধীন

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,২৩০ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১,৪৮৪ জন।

দীর্ঘমেয়াদি পরিসংখ্যান

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ভর্তি হয়েছিলেন এবং ওই বছরই সর্বোচ্চ ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।