শরদীয় দুর্গোৎসব ও সাপ্তাহিক ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। আজ শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর দিনে সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো পর্যটক ভিড় করেছেন দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতে।
সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া থাকলেও দুপুর গড়াতেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলী ও লাবণী পয়েন্টসহ আশপাশের অংশগুলো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পরিবার, তরুণ-তরুণী ও শিশুদের উচ্ছ্বাসে সৈকত এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
স্থানীয় হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার শহরের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের প্রায় শতভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। ফলে এখন কোনও হোটেলে খালি রুম পাওয়া যাচ্ছে না। কলাতলী মেরিন ড্রাইভ আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, “টানা ছুটিতে কক্সবাজারে আসা পর্যটকের চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ফুল বুকিং।”
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ জানান, বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসার সুযোগে অপরাধীরা যাতে সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য সৈকতের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিনের ছুটি ঘিরে কক্সবাজারগামী ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাত্রী চাহিদা সামলাতে রেলওয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ‘ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস’ নামে বিশেষ ট্রেন চালু করেছে।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতে আগত পর্যটকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজারে এসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে পারা তাদের কাছে সবচেয়ে বড় আনন্দের ব্যাপার।
