মৌসুমি বায়ু বিদায়ের সময়ে দেশে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও, রাজধানীতে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা কম ছিল। দেশের অন্যান্য অংশেও বৃষ্টি কমে এসেছে। আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ পরিষ্কার এবং রোদ উঠেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশের দুই বিভাগে আজ কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, তবে কখন বৃষ্টি হবে তা জানা যায়নি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু জায়গা এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার জন্য দেওয়া পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে সামান্য বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর জানান, আজ মূলত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমি বায়ু একেবারে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত এবং এটি দক্ষিণ–পূর্বের এলাকা দিয়ে চলে যাবে। তাই চট্টগ্রামে বৃষ্টি বেশি হতে পারে, সিলেটের কিছু স্থানেও বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানীতে শুষ্ক অবস্থাই থাকবে এবং যদি বৃষ্টি হয়, তা সামান্য হতে পারে।
সাধারণত ৩১ মে বা ১ জুনের মধ্যে দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। তবে এবার তা নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রবেশ করেছে। জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়, যদিও জুলাই ও আগস্টে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়। চলতি অক্টোবরের শুরু থেকেই সাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় নেত্রকোনায়, ৮৫ মিলিমিটার, আর রাজধানীতে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে। তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে, অর্থাৎ আগামী বুধবারের মধ্যেই মৌসুমি বায়ু দেশ থেকে পুরোপুরি চলে যেতে পারে এবং এরপর বৃষ্টি থাকবে না।
এ মাসের ২০ তারিখের পর আবার একটি লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে, যা এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।