ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০৭টি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে ২৫০টি কোম্পানি সক্রিয়ভাবে উৎপাদনে আছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় ৩২টি কোম্পানি ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছে, যেখানে ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে গেছে। বাকি কোম্পানিগুলো তথ্য দিলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন মো. জাকির হোসেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
এক প্রশ্নের জবাবে ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব বলেন, একটি ওষুধ উৎপাদনে ১০–১২টি থেকে ৫৩টি পর্যন্ত উপকরণের প্রয়োজন হয়। ফলে ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে এখনই সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি তৈরি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাকির হোসেন আরও বলেন, শনিবার আগুনের সময় অনেক বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল ঠিকঠাক থাকবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। কারণ, এসব কাঁচামাল সংরক্ষণে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিশ্চিত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কার্গো ভিলেজের আগুনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁর ভাষায়, “কার্গো ভিলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন শনাক্ত ও প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।”