রাশিয়া থেকে তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে ধীরে ধীরে পুরোপুরি বন্ধ করার প্রস্তাব সোমবার সমর্থন দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জ্বালানি মন্ত্রীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিল জানিয়েছে, লুক্সেমবার্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মন্ত্রীরা এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। পরিকল্পনার আওতায়, রাশিয়ার সঙ্গে নতুন গ্যাস আমদানি চুক্তি ধাপে ধাপে বাতিল শুরু হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী যেসব চুক্তি রয়ে গেছে, সেগুলো ধীরে ধীরে বাতিল করা হবে ২০২৬ সালের জুন থেকে। দীর্ঘ মেয়াদী আমদানি চুক্তি বাতিলের সময় নির্ধারিত হয়েছে ২০২৮ সালের জানুয়ারি।
তবে প্রস্তাবটি এখনও চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গিয়েছে, যেখানে দেশের প্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন চায় রাশিয়ার তহবিল সরবরাহ কমিয়ে ইউক্রেইন যুদ্ধে তার অবদান সীমিত করা।
বর্তমানে ইইউ দেশগুলোতে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি মাত্র ১২ শতাংশ, যা ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে ৪৫ শতাংশ ছিল। তবে কিছু দেশ—যেমন হাঙ্গেরি, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম—এখনও রাশিয়ার গ্যাস কিনছে।
ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়ার তেল ও গ্যাস বন্ধের প্রস্তাব এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার আপত্তি থাকলেও এটি পাস হয়। উভয় দেশই পূর্বে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল এবং এখনও রাশিয়ার তেল আমদানি করছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ইইউ সদস্যদেশের সমর্থন থাকা উচিত, যা অন্তত ৫৫ শতাংশ। ফলে কেবল এক বা দুই দেশের বিরোধের কারণে প্রস্তাব আটকে যাবে না।
সোমবার অনুমোদিত প্রস্তাবটিতে হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ার মতো ভূমিবেষ্টিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও রাখা হয়েছে।
ইইউ পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়েও আলোচনা করছে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি একবছর আগেই, অর্থাৎ ২০২৭ সালের জানুয়ারি থেকে নিষিদ্ধ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস জানিয়েছেন, এই নতুন নিষেধাজ্ঞা এ সপ্তাহের শুরুতেই অনুমোদন পেতে পারে।