‘জুলাই যোদ্ধারা’ নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে এবং পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দাবি করেছেন। তারা এই প্রত্যাশা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে।
সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকের তথ্য দিয়ে কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “জুলাই যোদ্ধারা জুলাই পরিবারের সদস্যদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতি জোর দিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেক জুলাই যোদ্ধাকে একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র প্রদানের বিষয়েও তারা গুরুত্বারোপ করেছেন।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই যোদ্ধারা জানিয়েছে যে স্বাস্থ্য কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকেই গত কোরবানি ঈদের পর থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা এই অবস্থাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন।
চিকিৎসা নিশ্চিত করতে, তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পক্ষ থেকে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে একটি লিখিত নির্দেশনা পাঠানোর জন্য কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের দিন মঞ্চের সামনে অবস্থান নেওয়া জুলাই যোদ্ধাদের পিটিয়ে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তারা বলেছেন, ঘটনাটি তাদের জন্য সম্পূর্ণ ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ছিল। তাদের ভাষ্য, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তারা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা ঘটাতে যাননি; বরং ন্যায্য দাবিগুলো তুলে ধরার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তবে সেই সময়ে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি সেখানে অনুপ্রবেশ করে মারামারি ও ভাঙচুর চালায়। তাদের মধ্যে ২০–২৫ জনের পরিচয় জুলাই যোদ্ধারা চিহ্নিত করেছেন। জুলাই যোদ্ধারা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সেদিন দায়ের করা ৪টি মামলা প্রত্যাহারে কমিশনের সহায়তা কামনা করেছেন।
কমিশন জানিয়েছে, এসব দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করা হবে।
বৈঠকে জুলাই যোদ্ধাদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলের হয়ে উপস্থিত ছিলেন মো. সোহাগ মাহমুদ, কামরুল হাসান, মো. আল-আমিন, মুস্তাঈন বিল্লাহ হাবিবী, হাসিবুল হাসান জিসান, মারুফা মায়া, আহাদুল ইসলাম, মাজেদুল হক শান্ত, মো. সাগর উদ্দিন, মো. দুলাল খান, মো. নাহিদুজ্জামান, ইমরান খান এবং নুসরাত জাহান।