দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, রোববার সকালে বয়লার পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এক নম্বর ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই ইউনিট থেকেই তৃতীয় ইউনিট বন্ধের পর প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর সকালে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ওই ইউনিটের গভর্নর ভাল্বের ‘স্টিম সেন্সরের’ চারটি টারবাইন অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুটি ইউনিটই পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে। তবে উৎপাদনে ফিরতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।”
তিন ইউনিট বিশিষ্ট এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে দুইটি ইউনিটের ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে এবং অপর ইউনিটের ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। তবে গত ১৫ বছরে কখনোই তিনটি ইউনিট একসঙ্গে চালু করা সম্ভব হয়নি।
২০২০ সালের শেষ দিক থেকে ১২৫ মেগাওয়াটের দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। সাধারণত ২৭৫ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট থেকে ১৭০–১৮০ মেগাওয়াট এবং এক নম্বর ইউনিট থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। ফলে এই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে।