জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনকে হত্যার ৪১ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত সকাল ১০টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় তিনজনকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে— মাহির রহমান, বার্জিস শাবনাম বর্ষা ও ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। এছাড়া অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়াতে যান। ওইদিন সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে ছাত্রী বর্ষা জোবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারে জানায়, “জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা তাঁকে খুন করে ফেলছে।”
এর কিছুক্ষণ পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুল হাসান ঘটনাটি ফোনে সৈকতকে জানান। পরে সৈকত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এনায়েত সৈকত বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার পরিচিত বড় ভাই এডভোকেট ইশতিয়াক হোসাইন জিপুকে সঙ্গে নিয়ে রৌশান ভিলায় উপরে উঠি। সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখি। ভবনের তৃতীয় তলায় সিঁড়ির উপর উপুড় হয়ে থাকা জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।”
তিনি আরও জানান, “গতকাল মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম, তাই আজ মামলা করেছি। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের আগেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। আজ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।”