সরকারি সিদ্ধান্তে বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণার পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীতে কয়েকদিন ধরে চলা এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের টানা আন্দোলনের মুখে সরকার মঙ্গলবার ঘোষণা দেয়, তাদের বাড়িভাড়া দুই ধাপে মোট ১৫ শতাংশ বাড়ানো হবে।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনরত শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এর পরপরই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে বাস্তবতা হলো, দীর্ঘ ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সেই বাস্তবতায় এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া বাড়ানো সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে, তবে বাস্তবতার নিরিখে আমাদের ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। পরবর্তী ধাপে, আগামী বছরের জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকদের দাবি ও পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা গত কয়েকদিন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে শিক্ষকরা নতুন উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন।