দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে এ বছর এখন পর্যন্ত এই মশাবাহিত রোগে মোট ২৫৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
বুধবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৭০ ও ৬৫ বছর। মৃতদের একজন রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
গত একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৭৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৩৬৭ জনে।
এ বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন—১৫ হাজার ৮৬৬ জন। ওই মাসে মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের।
এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। জানুয়ারিতে ভর্তি হয় ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে সর্বাধিক রোগী ভর্তি হন।
মৃত্যুর দিক থেকে জুলাই মাসে ৪১ জন মারা যান। জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুনে ১৯ জন, অগাস্টে ৩৯ জন এবং মার্চে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ২৬০ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ১৭০ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, চট্টগ্রামে ৭৯ জন, খুলনায় ৪১ জন, রাজশাহীতে ৩৯ জন, রংপুরে দুইজন, বরিশালে ১২৯ জন এবং সিলেটে একজন ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে সারাদেশে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৬২০ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ৯১১ জন ঢাকার হাসপাতালে এবং ১ হাজার ৭০৯ জন রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হিসাব সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং মৃত্যুও হয়েছিল সর্বাধিক ১ হাজার ৭০৫ জনের।