রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে জুলাই জাতীয় সনদ সই হলেও, এর বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। এমন পরিস্থিতিতে আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার জাতীয় সংসদের এল ডি হল ভবনের কমিশন কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরাসরি ও ভার্চুয়ালি মিলিয়ে মোট পাঁচজন বিশেষজ্ঞ এতে অংশ নেন।
গত শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মধ্যে ২৫টি সনদে স্বাক্ষর করে রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকার জানায়। তবে বাকি পাঁচটি দল এখনো সই করেনি, ফলে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হবে।
সনদ সইয়ের অনুষ্ঠানে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা একদিনে সফল হবে না। একটি দলিল একা এর নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে আমরা আশা করি, জাতীয় দলিলটি দ্রুত বাস্তবায়ন পাবে।”
বুধবারের বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূইয়া।
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা সনদ বাস্তবায়নের নানা প্রস্তাব পর্যালোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সদস্যদের অভ্যন্তরীণ বৈঠক হবে এবং বেলা ২টায় পুনরায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।
বুধবারের সভায় কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও কমিশনের প্রতিনিধি মনির হায়দারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।