দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চার শীর্ষ অপরাধী

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে বিহার রাজ্য থেকে আসা চারজন কুখ্যাত অপরাধী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সংঘটিত এই ঘটনায় নিহতরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা ‘সিগমা গ্যাং’-এর সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।

রাত আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তরপশ্চিম দিল্লিতে পুলিশের একটি অভিযানের সময় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের বরাত অনুযায়ী, কর্মকর্তারা রাস্তায় অপরাধীদের থামানোর চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

পরে তাদের দ্রুত রোহিনি এলাকার ড. বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত অপরাধীদের পরিচয় জানা গেছে— রঞ্জন পাঠক (২৫), বিমলেশ মাহাতো (২৫), মনিষ পাঠক (৩৩) ও আমান ঠাকুর (২১)। এদের মধ্যে রঞ্জন পাঠক ছিলেন দলের নেতৃত্বে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিহারজুড়ে চাঁদাবাজি ও ভাড়াটে হত্যার মতো নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। ‘সিগমা গ্যাং’ নামে পরিচিত এই দলটি গত সাত বছর ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল এবং ধীরে ধীরে রাজ্যজুড়ে বিশাল এক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।

দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহত চারজনের বিরুদ্ধেই খুন, জখম, চাঁদাবাজি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের একাধিক মামলা চলছিল। রঞ্জন পাঠকের গ্রেপ্তারের জন্য ২৫ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অন্তত আটটি মামলা ও পাঁচটি বহুল আলোচিত হত্যার অভিযোগ ছিল।

পুলিশ জানায়, রঞ্জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত অডিও বার্তা পাঠিয়ে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানাতেন। আসন্ন বিহার নির্বাচনকে ঘিরে তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরে এই দলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল এবং শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালায়।

ঘটনার পর পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন প্রমাণ সংগ্রহ করছে। এদিকে অপরাধী দলের অন্যান্য সদস্যদের খুঁজে বের করতে ও তাদের সহযোগীদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।