ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
সোমবার উপজেলার কামারপট্টি রোডে এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাব্বত খান।
তিনি বলেন, মামলায় ছয়জনকে নামসহ এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী দম্পতির ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে স্বামী তার বাসায় যান। সেখানে গেলে কয়েকজন তাকে আটক করে চাঁদা দাবি করে এবং রাতভর নির্যাতন চালায়।
পরে তার প্রথম স্ত্রীকে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়। রোববার সকালে তিনি গেলে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে স্বামীকে রড ও পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়।
এরপর দুপুরে ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে দিয়ে তার প্রথম স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, তজুমদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন ধর্ষণে অংশ নেন।
আলাউদ্দিনের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি বলেন, এমন ঘটনার কথা তারা শুনেছেন এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি মোহাব্বত খান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।