সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কি না, তা রাজনৈতিক দলগুলোকে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি তুলেছে। বিশ্বের কিছু দেশে এ ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতা ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে এটি কতটা উপযোগী, তা ভেবে দেখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।”
মঙ্গলবার ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ভিডিও বার্তাও সেখানে প্রচার করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখতে ও বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত রাখতে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের ঐক্য। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভাজন ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে কি না, তা রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “এই পদ্ধতির আড়ালে নিজেদের অজান্তে পরাজিত, পলাতক, ফ্যাসিস্ট অপশক্তিকে পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি হচ্ছে কি না, সেটাও ভাবার সময় এসেছে। নিত্যনতুন বিষয় সামনে আনার সুযোগে ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেতে পারে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে এবং জনগণের সব দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের প্রধান দায়িত্ব হবে তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।