দেশের অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে: অলি আহমদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ মন্তব্য করেছেন যে, দেশে ‘অশান্ত পরিবেশ’ তৈরি করতে আওয়ামী লীগের লোকজন বিদেশ থেকে অর্থ পাঠাচ্ছেন।

রোববার বিকালে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের এক আলোচনা সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন।

অলি আহমদ বলেন, “বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা আসছে। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা, বড় নেতা ও নানা শ্রেণির সুবিধাভোগী, যারা অর্থ লুণ্ঠন করেছেন এবং পাচার করেছেন, তারা এখন বিভিন্ন দেশে আছেন। প্রত্যেকে নীল নকশা অনুযায়ী কাজ করছে। তারা প্রত্যেকে হাসিনার কাছে (টাকা) পাঠাচ্ছেন। আমার কাছে তথ্য আছে; আমি এটা আন্দাজে বলছি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি অন্তবর্তী সরকার ও জনগণকে বলব, পতিত ‘ফ্যাসিস্টদের’ ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ থাকুন। ওরা যেন কোনোভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে এবং অরাজকতা তৈরি করতে না পারে। ওদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।”

এলডিপির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অলি আহমদ আরও বলেন, “জনগণের ওপর আস্থা ছিল না শেখ হাসিনার। তাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি যদি বলি, ভারত তাহলে আমাদের বন্ধু কী করে হতে পারে? যারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের অর্থ লুটপাট করেছে, নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, গুমের সংস্কৃতি চালু করেছে, বাংলাদেশকে ভিক্ষুক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, আইনের শাসনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, ন্যায়বিচারকে বন্দি রেখেছে, তাদের পরিণতি কী হতে পারে তা ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে।”

তিনি দাবি করেন, “শেখ হাসিনা ও তার দোসররা ভারতে পালিয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের বের করতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

অলি আহমদ অন্তবর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “এখন অনেক উপদেষ্টা দুর্নীতিতে জড়িত। তারা যদি মনে করেন, তারা বিচারের ঊর্ধ্বে, তা ভুল। তাদেরও বিচার হবে।”

অতিসম্প্রতি, তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

সভায় এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, নেয়ামুল বশির, ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, ফারজানা রশীদ ব্রাউনিয়া, রিয়াসাদ উদ্দিন, মফিজুর ইসলাম নিলু ও তপতী রানী।