উড্ডয়নের ঠিক আগ মুহূর্তে ‘বোমা’ থাকার খবর পেয়ে থামানো হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেপালগামী একটি উড়োজাহাজ।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালানো হয়, তবে বোমার কোনো অস্তিত্ব মেলেনি।
নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর রাতে উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর জানান, ফ্লাইটটির বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী যাত্রী ওঠানোর পর উড়োজাহাজটি রানওয়ের পথে ট্যাক্সি করছিল।
“ঠিক উড্ডয়নের আগে কন্ট্রোল টাওয়ারে একটি বেনামি ফোন আসে। বলা হয়, ফ্লাইটে একটি বোমা রাখা হয়েছে। এরপর দ্রুত উড়োজাহাজের উড্ডয়ন বাতিল করা হয়।”
তিনি বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য তাদের উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে স্ক্রিনিং শেষে লাউঞ্জে নেওয়া হয়। বিমানবন্দরের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দ্রুত সেখানে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগীব সামাদ বলেন, বিকাল ৪টা ২৬ মিনিটে একটি অজ্ঞাত ফোনকলের মাধ্যমে কাঠমান্ডুগামী বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে বোমা থাকার আশঙ্কার কথা জানানো হয়। তখন উড়োজাহাজটিতে ১৪২ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু ছিলেন।
“পরে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স ও এভসেক দ্রুত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে। বিমান বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও এপিবিএন-এর ডগ স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে আসে।”
তিনি আরও জানান, পরে র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলও যুক্ত হয়ে উড়োজাহাজের ভেতর ও লাগেজ কম্পার্টমেন্ট তল্লাশি করে।
রাত পৌনে ৮টার দিকে বিমানের মহাব্যবস্থাপক রওশন কবীর বলেন, “বিমানে কোনো বোমা বা এ ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি। এটি ছিল ভুয়া কল।”
নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর রাত ৯টা ২২ মিনিটে উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হয়।
রাগীব সামাদ বলেন, এ সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের উড্ডয়ন ও অবতরণের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল এবং পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।