দেশে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের একটি অংশের ‘আইএমইআই নম্বর’ বদলে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাচার করা হয় বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার নন্দনকানন হরিশ দত্ত লেইন এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ৩৪২টি মোবাইল ফোন, ছয়টি ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. তানভির হাসনাইন (৩২), সোহেল উদ্দিন (৩২), মো. রুবেল ওরফে চাকমা রুবেল (৩৬), মো. মোহাম্মদ হোসাইন (২২) ও আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)। তাদের মধ্যে চাকমা রুবেল পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলো নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাই ও চুরি করা। যে বাসা থেকে সেগুলো জব্দ করা হয়, সেটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল মোবাইলের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর বদল ও ছোটখাটো মেরামতের কাজের জন্য।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, এসব মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর পাল্টে ও ছোটখাটো মেরামত করে নতুনভাবে প্যাকেট করা হতো। পরে সেগুলো বিভিন্ন জেলা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হতো। এর একটি অংশ মিয়ানমার, ভারত ও নেপালেও চলে যেত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চক্রের সদস্যদের মধ্যে রুবেল ছিনতাইয়ের কাজ করতেন, তানভীর মোবাইলের কারিগর। হোসাইন ও মামুন ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল সংগ্রহ করতেন, আর সোহেল সেখানে অর্থ লগ্নি করতেন।
উপ-কমিশনার মাহবুব বলেন, রুবেল ছাড়াও বিভিন্ন ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন হোসাইন ও মামুন। তারা ছিনতাই হওয়া দামি মোবাইলগুলো কম দামে কিনে নিতেন এবং অর্থের জোগান দিতেন সোহেল। আইএমইআই নম্বর বদলে দিত তানভীর।
তিনি আরও বলেন, এ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার লোকজনেরও যোগাযোগ আছে। যেখানে লাভ বেশি, সেখানে তারা এসব মোবাইল বিক্রি করত। এর একটি বড় অংশ চট্টগ্রামের বাইরে বিভিন্ন জেলা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও প্রতিবেশী দেশে পাঠানো হতো।