অগাস্ট থেকে ৫৫ লাখ পরিবারকে চার মাস চাল দেবে সরকার

আসছে অগাস্ট মাস থেকে সারাদেশে ৫৫ লাখ পরিবারের মাঝে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করবে সরকার। এ কার্যক্রম চলবে টানা চার মাস। গেলবারের তুলনায় এবার ৫ লাখ বেশি মানুষ এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসছেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “গতবার ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হয়েছিল। এবার অর্থ উপদেষ্টা সেটাকে ৫৫ লাখে উন্নীত করেছেন। ৫৫ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে ছয় মাস। অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর পর্যন্ত চাল পাবে।”

তিনি আরও জানান, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিরতি দিয়ে আবার ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চাল বিতরণ করা হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে একটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল পায়।

চালের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, “চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিতে হয়। শুধু রেগুলেটরি কাজ যথেষ্ট নয়। আস্থা তৈরি করতে বাজারে সরকারেরও ক্রেতা হিসেবে উপস্থিত থাকতে হয়। কেনাকাটা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অগাস্ট থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে।”

বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির সুযোগও সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “সরকারি কোষাগারে ১৩ লাখ টনের মতো খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। এই কর্মসূচির ফলে তা কিছুটা কমে যাবে। সেজন্য আমন মৌসুমে বন্যার আশঙ্কায় চার লাখ টন চাল আমদানির চিন্তা করছি। গতবার বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আনা হয়েছিল ৫ লাখ টনেরও কম। এবার বেসরকারি পর্যায়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।”

সভায় আরও জানানো হয়, বোরো মৌসুমে সাড়ে তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও এর মধ্যে তিন লাখ ৭৬ হাজার টন ধান সংগ্রহ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ হাজার টন বেশি। এছাড়া সাড়ে ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১৪ লাখ টনের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।