আল আকাবা সমবায়ের ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই সম্পদ জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই জামালপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ এই জব্দের আদেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।

আল আকাবা সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের যে অভিযোগ রয়েছে, তার অনুসন্ধান শেষে মাদারগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আজাদ। তবে সুনির্দিষ্ট কতজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, মাদারগঞ্জের ‘আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির’ ব্যানারে পরিচালিত হতো ব্যাংকিং কার্যক্রম। ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৩-১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করা হয়।

শুরুর দিকে কিছু মুনাফা দেওয়া হলেও পরে সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি লাখে মাসে ১২০০-১৫০০ টাকা মুনাফা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

সমিতির পরিচালকরা নিজেদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেন। এই সম্পদ, স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো জব্দ করেছে সিআইডি।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, জব্দ করা সম্পত্তির পরিমাণ ৩ হাজার ১১৩ শতাংশ। এর মধ্যে জামালপুর সদরের গহেরপাড়া মৌজায় প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ‘আলফা অস্ট্রোব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা এবং গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা মৌজায় প্রায় ৩৫০ শতাংশ জমির ওপর ‘আলফা ড্রেসওয়ার’ নামে একটি গার্মেন্ট কারখানা রয়েছে।

এছাড়া ‘আলফা ডেভেলপার’ ও ‘আলফা ড্রেসওয়ার’-এর নামে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে ৯টি প্লটও রয়েছে। বাকি সম্পত্তিগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও জামালপুরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।