‘নিরীহ মানুষকে আসামি করা হচ্ছে’—কোটালীপাড়ায় বিএনপির অভিযোগ, পুলিশের পাল্টা ব্যাখ্যা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ‘নিরীহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও গণগ্রেপ্তারের’ অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। তবে পুলিশ বলছে, তারা শুধু ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরই গ্রেপ্তার করছে।

রোববার দুপুরে উপজেলার ঘাঘর বাজারের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতারা। তারা জানান, বুধবার উপজেলার ওয়াপদার হাট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কোটালীপাড়া-পয়সারহাট সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা দেন। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় ১৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। সেই মামলায় ‘সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ বিএনপির।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিন বলেন, “এই মামলায় উপজেলার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। বেশিরভাগই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন, তারা কীভাবে আসামি হলেন?”

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বলেন, “আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, মামলার অধিকাংশ আসামি সাধারণ মানুষ। তাহলে কাদের মদদে তাদের আসামি করা হলো?”

কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমান হাওলাদার পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “বিক্ষোভের সময় আপনারা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তখন কাউকেই আটক করেননি। আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি ধরতে পারতেন। অথচ এখন নিরীহ মানুষদের গ্রেপ্তার করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। যদি মানুষদের হয়রানি করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি ইউছুপ আলী দাঁড়িয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ ফায়েকুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ছলেমান শেখ, যুবদলের সদস্যসচিব মান্নান শেখ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক লালন শেখ প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যাদের শনাক্ত করা গেছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করছি। এ পর্যন্ত ৩০ জনকে ধরা হয়েছে।”

জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।”