উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত ১৯, আহত দেড় শতাধিক

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে।

আইএসপিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলটসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬৪ জন।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামালও ১৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানান।

আজ সোমবার বেলা ১টার পর স্কুল ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে, পরে বিধ্বস্ত হয়।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আজ বিমানবাহিনীর একটি এফ–সেভেন বিজিআই ফাইটার এয়ারক্র্যাফট আনুমানিক একটার দিকে আমাদের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা শাখার দোতলা স্কুল ভবনে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করেছে। এই দোতলা ভবনের প্রথম তলায় ছিল তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বাচ্চাদের ক্লাস। দ্বিতীয় তলায় ছিল দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। সঙ্গে ছিল প্রিন্সিপালের অফিস ও মিটিং রুম। একটি কোচিংয়ের ক্লাসও চলছিল। ক্র্যাশ ল্যান্ডিং যখন হয়, তখন স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় যেসব বাচ্চারা টিচার্স রুমের কাছে জড়ো হয়েছিল, তাদের সঙ্গে কিছু অভিভাবকও ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস আনুমানিক বেলা ১টা ৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পায়। দ্রুত আমাদের ইউনিট পৌঁছে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। মোট ৯টি ইউনিট কাজ করেছে। বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ অবস্থায় আছে এবং উদ্ধারকাজ চলছে।’

হতাহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাবে এখন পর্যন্ত ১৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ সবাই মিলে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। শেষ হলে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব জানানো যাবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। সময় লাগবে। ধারণা করা হচ্ছে, অধিকাংশই শিশু।’

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ। বিধ্বস্ত ভবন থেকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স বের হচ্ছিল। আহতদের জন্য রক্ত দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছিল।