গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের মামলায় নিরীহদের হয়রানি না করার আহ্বান বিএনপির

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিরীহ নাগরিকদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা। সোমবার বেলা ১১টায় শহরের বড়বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়েরসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৬ জুলাই এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশের আগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা সমাবেশ পণ্ড করার জন্য সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কর্তব্যরত সরকারি কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করা হয়। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয় এবং গোপালগঞ্জ শহরে বিএনপি নেতাদের কয়েকটি তোরণও ভাঙচুর করা হয়। সমাবেশ শেষে মিছিলসহকারে এনসিপির নেতাদের আক্রমণ করার উদ্দেশে চড়াও হয়। একপর্যায়ে এনসিপির নেতা–কর্মীরাও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দিলে অনেক লোক হতাহত হন।

ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর থানায় কয়েকটি মামলা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব মামলায় যাতে কোনো নিরীহ, শান্তিপ্রিয় নাগরিক হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে নজর রাখার জন্য জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন থানায় যেসব মামলা হয়েছে, তার জন্য জেলা বিএনপি নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আগামী দিনে যেকোনো নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দলের সভা–সমাবেশ, মিছিলে কোনো অপশক্তি যাতে কোনো আক্রমণ ও বাধার সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসকসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। জেলার চলমান পরিবেশ–পরিস্থিতি শান্ত হলে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা হামলা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ–মিছিল ও সভা করার ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, কে এম বাবর, এম এ সেলিম, সদর উপজেলার বিএনপির সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম (লেনিন), সাধারণ সম্পাদক ফজলুর কবির দারা, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন (লিপটন), সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন (হীরা), যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।