গজারিয়ায় বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৪

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বালুমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষে মান্নান নয়ন ওরফে ‘শুটার মান্নান’ (৪৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তার সহযোগী ‘হৃদয় বাঘ’সহ আরও তিনজন।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালীপুরা এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মান্নান উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের যষ্টিতলা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ বেপারীর ছেলে।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মেঘনায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি ভাসমান ট্রলার থেকে মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করে। তার পরনে ছিল হাফ টি-শার্ট ও লুঙ্গি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর মান্নানের মরদেহসহ একটি ট্রলার কয়েক ঘণ্টা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ছিল। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, তিনি ও তাদের ১১ বছরের ছেলে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। তার স্বামীর সঙ্গে হোগলাকান্দি গ্রামের লালুর বিরোধ ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, কালীপুরা এলাকায় একটি ট্রলারে থাকা মান্নান ও তার সহযোগীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় প্রতিপক্ষ জলদস্যু পিয়াস-নয়ন গ্রুপ। পাল্টা গুলিতে মান্নান নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন তার সহযোগী হৃদয় বাঘ। অন্য দুই সহযোগী নদীতে ঝাঁপ দেন, তবে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, চলতি মাসের ১৬ তারিখে ষোলআনী বালুমহালে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় বালুমহালের ক্যাশিয়ার জান্নাত হোসেন বাদী হয়ে হোগলাকান্দির হৃদয় বাঘকে প্রধান আসামি করে গজারিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর ১৭ জুলাই রাতে হৃদয় বাঘ এলাকা ঘুরে আসেন এবং শুটার মান্নানসহ তার অনুসারীদের নিয়ে মহড়া দেন। সে সময় হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মাসে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে অন্তত আটটি সহিংস ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকেই।