মুরাদনগরে বিক্ষোভে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকালে উপজেলার ‘আল্লাহু চত্বরে’ এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালে ‘মুরাদনগরের সর্বস্তরের জনতা’ ব্যানারে আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে জমায়েত হন। একই সময় একই স্থানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সমর্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ কর্মসূচি আহ্বান করেন।

এ সময় জেলা পরিষদের একটি মার্কেট থেকে আসিফ মাহমুদের পক্ষের সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়।

সংঘর্ষে আসিফ মাহমুদের পক্ষের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হন বলে জানা গেছে। তাদের দাবি, আহতের সংখ্যা ৫০ জন পর্যন্ত পৌঁছায়।

অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আসিফ মাহমুদের সমর্থকদের হামলায় তাদেরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক ওবায়দুল হক অভিযোগ করেন, “আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতা কায়কোবাদের অনুসারীরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। মুরাদনগরের যেকোনো ঘটনাই তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ‘সর্বস্তরের মুরাদনগরবাসী’ ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল করি। তখন আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে অন্তত ৫০ জন সাধারণ মানুষ আহত হন। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়।”

পাল্টা অভিযোগ করে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “ছাত্রদলের কর্মসূচি ছিল শান্তিপূর্ণ। আমরা তিন দিন আগেই প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের দাবি ছিল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তখন দলীয় কার্যালয়ে বসে ছিল। এসময় আসিফ মাহমুদের অনুসারীরা মিছিল শুরু করে এবং সেদিক থেকেই ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যও দেয়।”

তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, “বিকালে এনসিপির (আসিফ মাহমুদের সমর্থক) পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। পাশেই অবস্থান করা কিছু লোক হঠাৎ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”