টেকনাফ উপকূলে নাফ নদীর মোহনা থেকে ছয়জন বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শাহপরীর দ্বীপের গোলার চর সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
অপহৃত জেলেরা হলেন—মো. আয়াছ, মো. ইয়াছিন, জিয়াউর রহমান, আতাউর হোসেন, কেফায়েত উল্লাহ ও রশিদ উল্লাহ। তাঁরা সবাই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী বলে জানা গেছে।
কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, টেকনাফের আবদুল মতলবের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার ট্রলারটি সাগর থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সময় আরাকান আর্মির একটি নৌকা এসে ট্রলারে উঠে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় এখন পুরো উপকূলের জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের ট্রলারগুলো মিয়ানমারের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরছিল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তারা অন্তত ১৮৮ জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “একটি ট্রলারসহ ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাসে নাফ নদী ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন ফেরত এলেও এখনও অন্তত ১০০ জন জেলে তাদের হাতে বন্দি বলে জানা গেছে।
