ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও সমসাময়িক কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা কবে হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, “অপেক্ষা করেন, কিছু দিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন। নির্বাচনি কার্যক্রম তো নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের নিয়তের কথা আপনাদের বলতে পারি। আমাদের নিয়ত আছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন দেওয়ার। এটা স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) সব সময় বলেন।”
ভোট আয়োজন নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের হেন উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হচ্ছে না।”
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২৬ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় দিন এই আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণার কথা বলেছেন। যদিও এরপর চার দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
অন্যদিকে বিএনপি প্রতিদিনই দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন আয়োজনের আগে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “২০০৮ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যে নির্বাচন হয়েছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই। এরপরের নির্বাচনগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার কী করবেন যে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে?”
উত্তরে আইন উপদেষ্টা বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, এর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। আপনারা যারা সাংবাদিক, কাজ করেন, অনেক ভয়াবহ তথ্য পাবেন ২০০৮ এর নির্বাচন নিয়ে।”
তবে কী সেই ‘ভয়াবহ তথ্য’—তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
২০০৮ সালের ভোট সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছিল।