প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, অমর একুশে বইমেলা নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বইমেলা হবে না বলে যে ধরনের তথ্য প্রচার হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
শফিকুল আলম বলেন, “বইমেলা অবশ্যই হবে। পরিস্থিতির কারণে সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। আমার মনে হয় না এটা বিশেষ কোনো বিষয়। বাংলা একাডেমি প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। আমি মনে করি হতাশ হওয়ার কিছু নেই।”
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশক সমিতির সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রেস সচিব আরও বলেন, “আমরা এমন একটি বইমেলা চাই, যেখানে সকল শ্রেণির পাঠকের পছন্দের বই পাওয়া যাবে। আবার সকল লেখকের বইও পাওয়া যাবে। পাঠক তার ইচ্ছে মতো প্রয়োজনীয় বইটি নেবেন। তাকে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। পাঠক যদি তার পছন্দের বইটি বইমেলা থেকে নিতে পারেন তবেই সেই বইটি তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।”
তিনি বাক্ত করেন, বিগত সরকারের সময়ে শেখ পরিবারের নামে বই প্রকাশ এবং ‘জোর করে’ বিক্রি করে কেউ কেউ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হান বলেন, “বই জ্ঞানের ভাণ্ডার। জ্ঞানই আমাদেরকে সভ্যতা শিখিয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের এমনকি জুলাই আন্দোলনও অঙ্গাঙ্গীভাবে একুশের বইমেলার সাথে যুক্ত। আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত বইমেলা।”
তিনি আরও বলেন, “বইমেলা অনুষ্ঠিত না হাওয়া মানে জুলাইয়ের অর্জনকে ম্লান করার চেষ্টা। যারা বইমেলাকে বন্ধ করতে চায় তারা জুলাইয়ের আন্দোলন অর্জনকে বিতর্কিত করতে চায়। সুতরাং বইমেলা ফেব্রুয়ারিতেই হতে হবে।”
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক গাজীউল হাসান খান, লেখক ফয়েজ আলম, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম কাদির, প্রকাশক গফুর হোসেন, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আখতার, এআইইউবির শিক্ষার্থী দাহেকা আঞ্জুম সাদিয়া এবং আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হাসান।
অনুষ্ঠানে মোট ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
