ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়া যাবে। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের তারিখ নির্ধারণের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সিইসি বলেন, “দ্রুত চিঠি পেয়ে যাব বলে আশা করছি। না পেলেও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। ভোটের যে তারিখ ঠিক হবে তার দুমাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।”

মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে, যেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত জুনে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। তবে ১৩ জুন লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, সব প্রস্তুতি শেষ হলে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে পারে।

আস্থা অর্জন, এআই অপব্যবহার রোধ ও ভোটার উপস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ

সিইসি বলেন, “শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। আয়নার মত স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই।”

তিনি জানান, আস্থা অর্জন, ভোটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ এবং ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধি নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েই তারা কাজ করছেন।

এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে ইসি। সুঁই-সুতা ও মোমবাতি থেকে শুরু করে নানা সামগ্রী কেনা হবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, “৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারসেজ প্রকিউরমেন্টে আটটি আইটেম ছিল, তার ভেতরে একটিতে পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। আমাদের যে সময়সীমা রয়েছে, তার মধ্যে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করি।”