ঢাকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান জানিয়েছেন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) অর্থায়নকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে ইসরায়েলের সংযোগ থাকায় সেখানে শিক্ষার্থী পাঠানোর বিষয়ে বিরোধিতা করছে ফিলিস্তিন সরকার। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি ফিলিস্তিন সরকারের স্বীকৃত নয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এইউডব্লিউ কীভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত তা তিনি তথ্য-প্রমাণসহ তুলে ধরেছেন। আফগান ও লাও দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি সরকার এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের নীতিকে সমর্থনকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সঙ্গে এইউডব্লিউর সম্পৃক্ততা উদ্বেগ আরও জোরালো করেছে।” বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের আগমনকে স্বাগত জানানো হলেও, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ ফিলিস্তিনি জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সেগুলোকে দূতাবাস সমর্থন করতে পারে না।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে পড়তে আসার আগ্রহী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ‘অন-অ্যারাইভাল’ ভিসার অনুমতি বাতিল হওয়ায় ১৩০ ছাত্রীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে রাষ্ট্রদূত এসব প্রতিবেদনের তথ্যে বিতর্ক উত্থাপন করে বলেন, ৩০ শিক্ষার্থীর ‘নিখোঁজের’ তথ্য ভিত্তিহীন; তারা স্বেচ্ছায় বৃত্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন এবং দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় বিকল্প বৃত্তি গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান এইউডব্লিউ’র অংশীদার এবং দাতাদের মধ্যে ইসরায়েলি সংযোগ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চ্যান্সেলর চেরি ব্লেয়ার এবং তার স্বামী সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এ সংযোগের সঙ্গে জড়িত। ট্রাস্টি বোর্ডের মধ্যে এমন সদস্যও রয়েছেন, যাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূত তাঁকে শিক্ষার্থী নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।