এনবিআরে আন্দোলনে ‘সংগঠকের ভূমিকা’ অভিযোগে আরও পাঁচ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগের অধ্যাদেশের বিরোধীতার আন্দোলনে ‘সংগঠকের ভূমিকা পালন’ করার অভিযোগে প্রথম দফায় চারজনের পর আরও পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। সোমবার একই দিনে পৃথক প্রজ্ঞাপনে মোট নয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে।

দ্বিতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন অতিরিক্ত কর কমিশনার, দুইজন যুগ্ম কর কমিশনার ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের একজন পরিচালক। তাদের বরখাস্তের পর এনবিআরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বরখাস্তকৃত কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা হলেন: অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও সুলতানা হাবীব, যুগ্ম কর কমিশনার মো. মেসবাহ উদ্দিন খান ও মো. মামুন মিয়া, এবং সিআইসির পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী।

এর আগে কাস্টমস ক্যাডারের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আ’লা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান ও সাধন কুমার কুন্ডু, যুগ্ম কমিশনার মো. সানোয়ারুল কবির ও উপ কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা এনবিআরের দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করার অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে কর্মসূচিতে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কর্মচারীদের কাজ বাধাগ্রস্ত করা এবং রাজস্ব ভবনে আসতে বাধ্য করার মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করার অভিযোগ রয়েছে।

এনবিআরের মে-জুন আন্দোলনের সময় সরকারি পদক্ষেপে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কলম বিরতি, শাটডাউন ও অন্যান্য কর্মসূচি চলে। আন্দোলনের জেরে সরকার সংশোধনী আনার আশ্বাস দেয় এবং কার্যক্রম বিদ্যমান কাঠামোয় চলার ঘোষণা দেয়।

আন্দোলনের পর এনবিআরের সামনের সারির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এতে বাধ্যতামূলক অবসর, বরখাস্ত ও বদলির সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের নামে ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে।