নেপালে সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। কূটনীতিকদের এলাকাগুলোতে (ডিপ্লোমেটিক জোন) কারফিউ দিয়েছে সরকার। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হোটেল থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ দল।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ছয়টায় নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগের দিন প্রস্তুতি নিতে বেলা তিনটায় স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা ছিল জামাল-মিতুলদের।
এদিন দুপুর ১২টায় ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে টিম হোটেলে। এরপর দলের হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা। কিন্তু মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব জানিয়েছেন, বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে হোটেলেই অবস্থান করার কথা।
তিনি বলেন, “তিনটায় অনুশীলনের নির্ধারিত সময় ছিল। সোয়া দুইটায় হোটেলের লবিতে এসে জানতে পারি এখন বের হওয়া যাবে না। স্টেডিয়ামের আশে-পাশে শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেছে। অনুশীলনের পরবর্তী আপডেট দ্রুতই জানানো হবে।”
পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও সোমবার বেলা ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে নেপালের পরিস্থিতি জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, “নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আজ বেলা ৩টায় দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন নির্ধারিত ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত অনুশীলন সেশনটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। অনুশীলনের নতুন সময় সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।”