ডাকসু ভোট গণনায় ক্যাম্পাসে ভিড়, ‘অযথা’ জমায়েত না করার অনুরোধ পুলিশের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে লোকজন জমায়েতের খবরের পর কাউকে ‘অযথা’ ভিড় না করতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ এই জমায়েতকে ‘উৎসুক জনতা’ বললেও তারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন ডাকসুর ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিকাল থেকেই এই জমায়েত বাড়তে থাকে। শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও জটলা বাড়তে থাকায় সন্ধ্যার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জনবলও বাড়াতে দেখা যায়।

এরমধ্যে রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, “ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনার কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশমুখে উৎসুক জনতাকে অযথা ভিড় না করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করা হল।”

মঙ্গলবার দিনভর ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর চলছে গণনা। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ সময় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে চারটি প্যানেলের তরফে। ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীর ব্যালটে আগে থেকে টিক দিয়ে রাখার অভিযোগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে টিএসসিতে বিক্ষোভও করেছে ছাত্রদল।

রাতে ভোট গণনা চলাকালে খালি ব্যালটবক্স ভরে ফেলার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ খবর পাওয়া গেছে। ফল ঘিরে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি নানা অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে লোকজনের জমায়েত নিয়েও ‘আশঙ্কার’ কথা শোনা যায়।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ভাষ্য, নীলক্ষেত, শাহবাগ, চানখারপুলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ‘সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান’ নিয়েছে। অপরদিকে শিবির প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের অভিযোগ, নয়টি পয়েন্টে যুবদল এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন।

এদিকে অবস্থানকারীরা নিজেদের পরিচয়ের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও অনেকেই বলছেন, ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। কেউ কেউ বলেছেন, ফল প্রকাশের পর পছন্দের প্রার্থীর বিজয় মিছিলে অংশ নিতে তারা এসেছেন।

এম অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর জানিয়েছেন। রাতে তিনি বলেন, “আইকনিক একটা নির্বাচন, এটার প্রতি মানুষের আগ্রহ রয়েছে। সে কারণে উৎসুক মানুষের ভিড়তো রয়েছেই।”

কোন ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সতর্ক আছি।”

এমন প্রেক্ষিতে রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো বার্তায় ‘উৎসুক জনতাকে’ অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানানো হল।