রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় ইউট্যাবের পাঁচ দফা দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দায়ী শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও রাকসু নির্বাচনে স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের টিচার্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার পর ইউট্যাব ঘোষিত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের আহ্বানে উপ-উপাচার্যদ্বয়ের উপস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও জিয়া পরিষদের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা হয়। ওই মিটিংয়ে উপাচার্য দ্রুত সময়ে সন্ত্রাসীদের দৃশ্যমান শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি আরও জানান, ওই প্রতিশ্রুতি এবং আগামী ১৬ অক্টোবরের রাকসু নির্বাচন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ইউট্যাবের শাটডাউন কর্মসূচি ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে আপাতত স্থগিত করা হলো।

ইউট্যাবের দাবিগুলো হলো—
১. অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রাকসু নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিশ্চিত করা;
৩. শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া।

আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের আগে কর্মসূচি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে রাকসুর আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলে ইউট্যাব আর নতুন কর্মসূচি দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না।

রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউট্যাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসুর নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই নির্বাচন হোক। এর মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হবে। আমাদের কর্মসূচি নির্দিষ্ট দাবির জন্য। নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কমিশনের। তারা যদি সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে পারে তবে ১৬ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। মিটিং শেষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়।