রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ এবং সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পর ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ছাত্রীদের হল দিয়ে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে অন্তত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা বড় ধরনের অনিয়ম ছাড়া টানা চারটা পর্যন্ত চলে। ভোটগ্রহণ হয় নয়টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে। প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী সাড়ে তিন দশক পর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বিকাল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন কেন্দ্রে ৪টার পরও অন্তত ৫০ জন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাদের সবার ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৫টায় সব কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ও বাক্স কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার পর কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ভোটের সময় সকালে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বৃদ্ধি পায়। ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ কয়েকজন প্রার্থীর ছোটখাট অভিযোগ থাকলেও তা ভোটের বড় কোনো প্রভাব সৃষ্টি করেনি।
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ জানিয়েছেন, ভোট গণনায় প্রথম ধাপে ব্যালট বাক্স খোলা হবে এবং হল, রাকসু ও সিনেটের ব্যালটগুলোকে ১০০টি করে বান্ডেল করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ব্যালট মেশিনে দেওয়া হবে, এবং তৃতীয় ধাপে ৪৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ফল পুনরায় যাচাই করবে। এরপর ফল ঘোষণা করা হবে।
ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে একটি করে হলের ফল প্রকাশ করা হবে এবং প্রত্যেক হলের ক্ষেত্রেই এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা মেয়েদের হল দিয়ে গণনা শুরু করব। প্রথম হলের ফল একাধিকবার যাচাই করব, তাই প্রথম হলের ফল ঘোষণা করতে কিছুটা সময় লাগবে।”
ভোট তথ্য:
- মোট ভোটার: ২৮,৯০১ জন; নারী ১১,৩০৫, পুরুষ ১৭,৫৯৬
- রাকসুর ২৩টি পদে প্রার্থী: ৩০৫ জন
- ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে প্রার্থী: ৫৫৫ জন
- সিনেটে ৫টি পদে প্রার্থী: ৫৮ জন
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১২ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন