জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বেলা সোয়া একটার পর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে লাঠিপেটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণ ও কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বলার ঘটনা ঘটে।
সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ অনুষ্ঠানস্থলের সামনে অবস্থান নেন। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়, এ সময় লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারীরা বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী আবার মঞ্চের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ফের সরিয়ে দেয়।
নিজেকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করে রুবেল নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিপেটায় তাঁদের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। রাস্তার কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বলছিল, বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও হামলা চালানো হয়েছে, পুলিশের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
এর আগে সকালে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন এবং মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিহত ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আজ বিকেল চারটায় দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল এতে যোগ দেবে বলে জানিয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গতরাতে জানায়, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না থাকায় তারা সনদে সই করবে না। অন্যদিকে বাম ধারার চারটি দল—সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জানিয়েছে, সংশোধিত খসড়া হাতে না পেলে তারা সনদে সই করবে না।