খাগড়াছড়ির সহিংসতা পূজা ব্যাহত করার চেষ্টা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শারদীয় দুর্গোৎসব যেন শান্তিপূর্ণভাবে না হতে পারে, সেজন্যই খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

দুর্গাপূজার অষ্টমীতে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি ঘটানোর উদ্দেশ্য ছিল যেন এই পূজাটা শান্তিপূর্ণভাবে না হতে পারে। কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছিল যাতে পূজাটা ভালোভাবে না হয়। সেই সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করে দেওয়া হয়েছে। পূজা ভালোভাবে হচ্ছে।”

উপদেষ্টা বলেন, “সন্ত্রাসীরা সব জায়গায় চেষ্টা করবে। সন্ত্রাসীদের মদদদাতা দেশের বাইরে রয়েছে।”

খাগড়াছড়ির ধর্ষণ ও সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

খাগড়াছড়িতে চলা উত্তেজনার সূত্রপাত হয় বুধবার; আগের দিন রাতে ‘অচেতন অবস্থায়’ ক্ষেত থেকে এক মারমা কিশোরীকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার রাতেই ওই কিশোরীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর মধ্যে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় খাগড়াছড়িতে। এই আন্দোলন একসময় সহিংস হয়ে ওঠে। ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের পরও পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। রোববার ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। সেখানে গুলিতে নিহত হয় তিনজন।

মঙ্গলবার গুইমারায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় সহিংসতার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য দেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।