চট্টগ্রামে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের উত্তর জেলা শাখার কার্যালয় দখল করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার নেতৃত্বে একদল তরুণ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে অবস্থিত ওই কার্যালয়টি তারা দখল করেন।
এনসিপির চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নগরের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন এই দখল অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও কর্মীরা।
ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছেন। সেখানে আরিফ মঈনুদ্দিনসহ এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
দোস্ত বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, বাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই কার্যালয়ে এক দফা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ ছিল।
তবে এনসিপির চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন দাবি করেন, ভবনটিতে রাতে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গোপনে সভা করতেন। তিনি জানান, এ খবর পাওয়ার পর তাঁরা মঙ্গলবার সেখানে যান এবং নিরাপত্তাপ্রহরীর কাছ থেকে রাতে কারা আসে জানতে চান। নিরাপত্তাপ্রহরী কেউ আসেনি বলে দাবি করলে তাঁরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
আরিফ মঈনুদ্দিনের ভাষায়, “ভেতরে ঢুকে আমরা বিভিন্ন প্রমাণ পাই যে এখানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছিল। তাই আমরা কার্যালয়টি তালা দিয়ে রেখেছি। আগামী দুই দিন ভবনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।”
তিনি আরও বলেন, “এই ভবনটি আসলে পরিত্যক্ত সম্পত্তি। একাত্তরের পর বিহারিরা এটি ফেলে যায়। এখানে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিসহ আরও অনেক দলের কার্যালয় রয়েছে।”
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তিনি ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।