আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেখানে তারেক রহমানই বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন তার উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, “ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।”
তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন—এ প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, “যেহেতু তিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন, সেজন্য উনার দেশে আসাটা তো স্বাভাবিক, উনি আসবেন। তারিখ যখন ঠিক হবে, তখন আপনারা জানতে পারবেন।”
তারেক রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় তার বাবা জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপির হাত ধরে। ১৯৭৯ সালে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয় দলটি। জিয়ার মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্ব নেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। তার নেতৃত্বে বিএনপি ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম এবং ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।
২০০১ সালের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তবে ২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে লন্ডনে চলে যান তিনি। তখন থেকে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এই সময়ে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠন করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়। জোটটির নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। এরপর ২০২৪ সালের নির্বাচনও বর্জন করে বিএনপি।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে ফেরেননি তারেক রহমান। এ সময়ে তাকে বিভিন্ন মামলা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে ফেরার পথ খুললেও তিনি আসেননি। লন্ডন থেকেই তিনি দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সব মামলায় খালাস পেলেও কবে তিনি দেশে ফিরবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো দিন-তারিখ এখনো জানাতে পারেননি বিএনপি নেতারা।
