ছুটির শেষ দিনে ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি, চাপ সবখানে

ঈদ কাটাতে ঢাকা থেকে রংপুরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন একটি এনজিওতে কর্মরত জুবাইদা ঊর্মি। যাওয়ার পথে খুব একটা সমস্যা না হলেও রাজধানীতে ফেরার পথে পড়েছেন ভোগান্তিতে।

শনিবার ছুটির শেষ দিনে ঊর্মি জানান, রংপুর থেকে বাসে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় রওনা হলেও ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও যমুনা নদী পার হতে পারেননি। শুধু রংপুর থেকে বগুড়া যেতে লেগেছে প্রায় ছয় ঘণ্টা।

বরিশালের ফরহাদ সরদারও ফিরতি যাত্রায় যাত্রীচাপের কথা জানান। তিনি চাঁদপুর থেকে এমভি রফরফ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

তিনি বলেন, “ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। কাল থেকে অফিস শুরু। লঞ্চ প্রায় সময়মতো ছাড়লেও প্রচুর চাপ মানুষের। একদম পরিপূর্ণ। শেষ দিন তো, তাই সবাই বেরিয়ে পড়েছে।”

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে অফিস-আদালত খুলছে। ছুটির শেষ দিনে এসে তাই সড়ক, রেল ও নৌপথে দেখা দিয়েছে ফিরতি যাত্রার চাপ।

এ বছর রোজার ঈদের আগে থেকে ছুটি শুরু হওয়ায় মানুষ ভিন্ন-ভিন্ন দিনে ঢাকা ছাড়ে। ফলে তুলনামূলক কম ভোগান্তির অভিজ্ঞতা হয়েছিল অনেকের।

তবে কোরবানি ঈদের ছুটি প্রায় একই সময়ে শুরু হওয়ায় বাড়ি যেতে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই।

কুমিল্লার মুদাফফরগঞ্জের বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, “চাকরির জন্য ঢাকায় থাকি। কিন্তু রোজার ঈদে আগে-পরে ছুটি হওয়ায় সবাই মোটামুটি কম ঝামেলায় যেতে পেরেছিল। কিন্তু কোরবানি ঈদে এসে উলটো। আমি তো বাসই পাচ্ছিলাম না। পরে ভেঙে ভেঙে পৌঁছেছি। ঈদে তো আর বাড়ি না গেলে চলে না।”

কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে ৭ জুন। এর আগে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে। সরকারি ছুটির ধারাবাহিকতায় ব্যাংক, এনজিওসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ছুটি দেয়।

রোববার সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি অফিসের পাশাপাশি ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খুলছে। তবে পশুর হাট এলাকা ও তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা ছিল ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।