জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেছে প্রসিকিউশন।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় বিচারকাজ সরাসরি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।
প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পাঁচটি ঘটনায় অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানান। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, যিনি প্রস্তুতি না থাকায় ১৫ দিনের সময় চান। আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়ে আগামী সোমবার পরবর্তী দিন ধার্য করে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কারাগারে থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার পক্ষে আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানিতে পরবর্তী দিন অংশ নেবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানো ও হত্যার ‘নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এরপর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়। ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়, যেখানে শেখ হাসিনাকে জুলাই ‘গণহত্যার নির্দেশদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
১ জুন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুল ইসলাম।
