জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে একটি অংশের বিচার মালয়েশিয়ার আদালতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাকিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তাদের সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে আটক করেছে, আমরা বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। আশা করছি, দুই-চারদিনের মধ্যে জানতে পারব তাদের বিষয়ে আসলে কী ঘটেছে।”
তিনি বলেন, “কয়েকজনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের আদালতে বিচার হবে। বাকিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশে ফিরলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের কতটুকু সম্পৃক্ততা আছে তা পরীক্ষা করবে।”
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আটকরা বিদেশে বাংলাদেশের ভিসা প্রাপ্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “যে কোনো নেতিবাচক বিষয়ই ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। তবে সঠিক পদক্ষেপ নিলে সেটি কমানো সম্ভব।”
আটকদের বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে তারা বিশেষ কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি না। জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সে প্রচেষ্টা থাকবে।”
এক সপ্তাহ আগে চিঠি পাঠানো হলেও উত্তর না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাধারণত কোনো বিষয় জানতে সপ্তাহ-দশ দিন সময় লাগে। এখনও দেরি হয়েছে বলা যাবে না।”
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল জানিয়েছেন, গত ২৪ এপ্রিল থেকে সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে তিন ধাপে পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
২৭ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ৩৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাহ আলম ও জোহর বারুর আদালতে সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।