ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাসুম মিয়া সোমবার এ আদেশ দেন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান দুই ভাইকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে আদালত আসামিদের জিজ্ঞাসা করেন, তাদের কোনো আইনজীবী আছে কি না। তখন তারা জানান, তাদের কোনো আইনজীবী নেই।
এ সময় রাজীব বেপারী আদালতকে বলেন, “সজীব বেপারী আমার বড় ভাই। আমি কিছু করিনি। আমি নির্দোষ।”
শুনানি শেষে আদালত দুই ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার নেত্রকোনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ব্যবসায়িক বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সবাই সোহাগের পূর্বপরিচিত এবং একসময় তার ব্যবসার সহযোগী ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর ঢাকার মহানগর হাকিম এম. মিজবাহ উর রহমান রবিবার এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রবিনকে একটি অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে শনিবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কোতোয়ালী থানার প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রবিন দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমি ফাইসা গেছি। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। সন্দেহের কারণে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার জীবনটা শেষ। আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে। আর কিছু বলতে চাই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। আমি দোষী, সারা বাংলাদেশের মানুষ জেনে গেছে।”
রবিনের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধারের কথাও জানান তদন্ত কর্মকর্তা।