মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাজউদ্দীনের বড় মেয়ে শারমিন আহমেদ ও ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ প্রধান উপদেষ্টার হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় শারমিন আহমেদ তার লেখা বই ‘তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা’ প্রধান উপদেষ্টাকে উপহার দেন।
১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়ার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তাজউদ্দীন আহমদ। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার অন্যতম উদ্যোক্তা তাজউদ্দীন ১৯৬৬ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার সময় মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্বভার তার ওপর অর্পিত হয়। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মে বড় ভূমিকা রাখেন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধুর সরকারে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এবং ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়।