ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো দ্রুত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যেসব মরদেহের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে না, সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। হাসপাতাল এলাকায় ভিড় না করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত ও দগ্ধ হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেলের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একইসঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। হতাহতদের স্মরণে দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি স্কুলের একটি অ্যাকাডেমিক ভবনের ফটকে আছড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে।
বিধ্বস্তের কারণ খতিয়ে দেখতে বিমান বাহিনী একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।