ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের পাশে কী ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে, তার পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল।
আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে রিজভী উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রিজভী বলেন, ‘এ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। এ ধরনের জায়গায় প্রশিক্ষণ বিমান দিয়ে উড্ডয়ন শিখছে, এটা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এটা বিস্তীর্ণ প্রান্তরে হতে পারত, যশোর বা কক্সবাজারের মতো জায়গায় হতে পারত। কিন্তু এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেভিগেশন বা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আমি জানি না। কিন্তু সাদা চোখে যা দেখি, চারপাশে মানুষে ভরা, বাড়িঘরぎぎছে—এমন জায়গায় প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত নয়। প্রশাসন ও সরকারের এখানে গুরুদায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা করলে মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তেই থাকবে।’
রিজভী বলেন, ‘বিমানবন্দরের পাশে কী ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে, তার পরিকল্পনা থাকা উচিত। মনে হচ্ছে, যেসব লোকালয় গড়ে উঠেছে, তা কোনো পরিকল্পনার অংশ নয়। এত ঘনবসতি এ এলাকায় হওয়া উচিত নয়।’
বিএনপির নেতা–কর্মীরা আহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আহতদের চিকিৎসাসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নেতা–কর্মীরা রক্ত সরবরাহসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করছে এবং দলের কয়েকটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং কিছুক্ষণ পর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে পাইলটও রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬৪ জন। হতাহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।