কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পই নন, কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনকে জন্মদিনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০০৩ সালে এপস্টিনের ৫০তম জন্মদিনে নগ্ন নারীর ছবি আঁকা চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প ওই খবরকে ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দিয়ে মানহানির মামলাও করেছেন।
এর মধ্যেই বিল ক্লিনটনের চিঠি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জানানো হয়, এপস্টিনকে বিভিন্ন সময়ে পাঠানো প্রায় ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির চিঠি একটি চামড়ার প্রচ্ছদে বাঁধানো বইয়ে সংকলিত রয়েছে। সেই সংকলনে ক্লিনটনের চিঠিটিও রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লিনটনের পাঠানো চিঠিতে এপস্টিনের ‘শিশুসুলভ কৌতূহলে’ মুগ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। চিঠিতে ইঙ্গিত রয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে চিনতেন। তবে ক্লিনটন এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।
চিঠির বইটিতে ‘ফ্রেন্ডস’, ‘সায়েন্স’, ‘ব্রুকলিন’, ‘ফ্যামিলি’সহ বিভিন্ন অধ্যায় রয়েছে। ট্রাম্প ও ক্লিনটনের নাম ‘ফ্রেন্ডস’ অধ্যায়ে পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন আরও জানায়, কিছু চিঠি সোজাসাপ্টা শুভেচ্ছাবার্তা হলেও কিছু বার্তায় যৌনতা সম্পর্কিত অশালীন কৌতুক রয়েছে।
জেফ্রি এপস্টিন ফাইলস যুক্তরাষ্ট্রের এক বিতর্কিত কেলেঙ্কারির গোপন নথি হিসেবে পরিচিত। যৌনদাসী কেনাবেচা ও প্রভাবশালীদের সরবরাহের অভিযোগে অভিযুক্ত এপস্টিনের পিডো দ্বীপে নাবালিকাদের দিয়ে অবৈধ কার্যকলাপ চালানো হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত বিমানে অতিথিদের এনে সেই দ্বীপে নেওয়া হতো। ট্রাম্প, ক্লিনটন থেকে শুরু করে মাইকেল জ্যাকসনসহ বহু প্রভাবশালীর নাম এপস্টিন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়ানোর কথা আগেই শোনা গিয়েছিল।
২০১৯ সালে ক্লিনটনের মুখপাত্র স্বীকার করেন, তিনি চারবার এপস্টিনের ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণ করেছিলেন। তবে তা ব্যক্তিগত ছিল না বলেই দাবি করেন তিনি।
বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীদের রক্ষায় এপস্টিন-সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প এপস্টিন ফাইল প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ বছরের শুরুতে ইলন মাস্কের সঙ্গে বিবাদের মধ্যে বিষয়টি আবার সামনে আসে।
মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, কেন এখনও এপস্টিন ফাইল প্রকাশ করা হয়নি। ট্রাম্পের সমর্থকদের একাংশও মনে করেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষার জন্য এসব তথ্য গোপন রাখা হয়েছে।