যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার পর দাফনের উদ্দেশে যখন দিদারুলের মরদেহ গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন চারটি পুলিশ হেলিকপ্টার টহল দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানায়।
জানাজার আগে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, দিদারুল ইসলামকে মরনোত্তর ‘প্রথম গ্রেডের ডিটেকটিভ’ পদে উন্নীত করা হয়েছে।
দিদারুলের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেখানে মা-বাবা, দুই ছেলে এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
সোমবার ম্যানহাটনের একটি ভবনে এক বন্দুকধারী ঢুকে গুলি চালায়। হামলায় দিদারুলসহ চারজন নিহত হন। পরে ওই বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে নিউ ইয়র্কে স্থায়ী হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
তার জানাজায় মেয়র এরিক অ্যাডামস, নিউ ইয়র্ক স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোকুল, মেয়র পদে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু ক্যুমো এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াসহ হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা ও দাফনের আগে দিদারুলের স্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, “দিদার ছিলেন আমাদের সবকিছু। তার এই মৃত্যু আমাদের একেবারে ভেঙে দিলেও আমরা গর্বিত যে, তার এই আত্মত্যাগে ওই লবিতে থাকা অন্যদের জীবন রক্ষা পেয়েছে।”